এনজাইমের সংজ্ঞা ও কার্যপ্রক্রিয়া
এনজাইম হলো প্রোটিন-ভিত্তিক জৈব প্রভাবক যা জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোর গতি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রতিক্রিয়ায় অংশ নিলেও নিজে অপরিবর্তিত থাকে। এনজাইম সুনির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে একটি এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স তৈরি করে এবং বিক্রিয়া সম্পন্ন করে।
জৈব প্রভাবকের বৈশিষ্ট্য
১. সুনির্দিষ্টতা:
প্রতিটি এনজাইম একটি নির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের জন্য কাজ করে।
২. তাপমাত্রার প্রভাব:
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা (অপটিমাম তাপমাত্রা) এর মধ্যে এনজাইম সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
৩. pH এর প্রভাব:
প্রতিটি এনজাইমের নির্দিষ্ট pH মান থাকে যেখানে এটি কার্যকর থাকে।
৪. ক্যাটালাইটিক ক্ষমতা:
অল্প পরিমাণ এনজাইম বৃহৎ পরিমাণ সাবস্ট্রেটের বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এনজাইমের কার্যপ্রক্রিয়া ধাপসমূহ
১. সাবস্ট্রেট বাঁধন:
এনজাইমের সক্রিয় সাইট সাবস্ট্রেটের সঙ্গে যুক্ত হয়।
২. এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স:
এনজাইম ও সাবস্ট্রেট একটি স্থিতিশীল জটিল তৈরি করে।
৩. রাসায়নিক বিক্রিয়া:
সাবস্ট্রেট এনজাইমের উপস্থিতিতে রূপান্তরিত হয়।
৪. পণ্য মুক্তি:
বিক্রিয়া শেষে পণ্য আলাদা হয়ে যায়, এবং এনজাইম নতুন বিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।
উদাহরণ
১. অ্যামিলেজ: মুখে থাকা এনজাইম যা শর্করা ভাঙতে সাহায্য করে।
২. লিপেজ: চর্বি বা লিপিড ভাঙার এনজাইম।
৩. প্রোটেজ: প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে।
Read more